সময় গড়ানোর সাথে সাথে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসছেন বাংলাদেশ টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে ঝড়ো ৩৫ রানের ইনিংসের
পর এদিন অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। বল হাতেও উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব। তাতে তার দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের শেষ চারে পৌঁছে গেছে।
চলতি সিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি সাকিব। তবে তার উপর আস্থা হারায়নি গায়ানা। প্রতিদান দিতে সময় নেননি সাকিবও। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৫ রানের পর বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। পরের ম্যাচে দেখা পেয়েছেন অর্ধশতকের। এদিন অর্ধশতকের দেখা পেতে সাকিব খেলেছেন ২৭ বল। তাতে পঞ্চম জয় পেয়েছে তার দল গায়ানা।
এর আগে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই গায়ানার উপর চড়াও হন বার্বাডোজ ব্যাটারা। ষষ্ঠ ওভারে সাকিবকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার। প্রথম ওভারে খরচ করেন ৯ রান। এরপর বল করতে আসেন অষ্টম ওভারে। দেন ৩ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বার্বাডোজ। ১৮ তম ওভারে বল করতে আসেন সাকিব। ওভারের তৃতীয় বলে মুজিব উর রহমানকে ফিরিয়ে বার্বাডোজের ইনিংসের ইতি টানেন সাকিব। বার্বাডোজের ইনিংস শেষ হয় ১২৫ রানে। ইনিংস শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ২.৩-০-১২-১।
ছোট লক্ষ্যে জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায়নি গায়ানা। ১৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন তিনি।
পঞ্চম ওভারে কাইল মেয়ার্সকে চার মেরে ইনিংসের সূচনা করেন সাকিব। এরপর প্রতিপক্ষের বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে তার ব্যাট। এ দিন ১৭৬ স্টাইকরেটে ৩ ছয় ও ৫ চারে ৩০ বলে করেন ৫৩ রান। তাতে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে তার দল। সাকিব ফিরলেও জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখে গেছেন তিনি। তার ফেরার পর ৫৪ বলে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল গায়ানার। বাকি কাজটুকু করেন রাহমানউল্লাহ গুরবাজ আর কিমো পল।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না পড়লে ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় গায়ানা। এ দিনও ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিবের হাতে।